জেনে নিন ওয়াইফাই এর ক্ষতিকর দিক সমূহ এবং এ থেকে বাঁচার উপায়।

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মধ্যে আমরা এমন ভাবে ঢুকে গেছি যে এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা কোন ভাবেই সম্ভব না। কেননা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছুই এখন ইন্টারনেট ভিত্তিক হওয়ায় আমরা ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল তাই যদি আপনি বা আমি এই ইন্টারনেট থেকে বেরিয়ে আসতে চাই বা আসি তাহলে আপনি-আমিই পিছিয়ে পড়ব। তাই ইন্টারনেট ভিত্তিক যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোকে বাদ না দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ইন্টারনেটের জালে আজ গোটা বিশ্ব আবদ্ধ। ইন্টারনেট ছাড়া জীবন ভাবাটাই দায়। আর ওয়াই-ফাই -এর বদৌলতে তা আরও হাতের মুঠোয়। কিন্তু, এই ওয়াই-ফাই আমাদের শরীরের কত ক্ষতি করে তা কি জানেন ? কোনো ডিভাইস-এর সাথে ওয়াই-ফাই কে কানেক্ট করতে হলে কোন প্রকার ‍তার লাগে না। তাহলে এই কানেকশন কিভাবে হয়? হ্যা আমরা যখন ওয়াই-ফাই রাউটার চালু করি তখন রাউটার সিগন্যাল অন্য কোন ডিভাইসে প্রেরণ করার জন্য এক ধরনের বলয় তৈরী করে যাকে বলা হয় ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ওয়েভ এই ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ওয়েভ যে শুধুমাত্র কোন নির্দিষ্ট ডিভাইসের সংস্পর্শে আসবে তা নয়। তার কাজ একটা বলয় তৈরী করা আর এই বলয়ের মধ্যে যে ডিভাইসটি কানেক্ট করা হবে সেটি সহ আরো অন্য কিছু থাকতে পারে যেমন মানুষ আর এই ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ওয়েভ মানব শরীরের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এর জেরে মানব শরীরের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়। শুধু মানুষ বা অন্য কোন প্রাণী নয়, উদ্ভিদও এর প্রভাব থেকে বাঁচতে পারে না।

ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ওয়েভ (যেটি ওয়াই-ফাই রাউটারে তৈরী হয়) এর ফলে আমাদের যে সমস্যা গুলো হতে পারে:

১।  মনোযোগের সমস্যা

২। ঘুমের সমস্যা

৩। মাঝেমধ্যেই মাথা যন্ত্রণা

৪। কানে ব্যথা

৫। ক্লান্তি

৬। মেজাজ খিটখিটে হওয়া

৭। সারা শরীরে ব্যথা

৮। চোখ দিয়ে পানি পড়া

৯। কানে কম শোনা

১০। একটা শব্দ দুইবার শোনা

ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হতে পারে। যেহেতু আমাদের এই ওয়াই-ফাই বাদ দেওয়া সম্ভব না তাই আমরা এখন আলোচনা করব কি সতর্কতা বা পদ্ধতি অবলম্বন করলে এই ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ওয়েভ এর হাত থেকে সমান্য হলেও নিরাপদ থাকতে পারি।

১. বেডরুম বা যেখানে আপনি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা ছাড়াও ঘোরাফেরা করেন সেখানে রাউটার বসাবেন না।

২. যখন আপনি ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন না  তখন রাউটার এবং আপনার মোবাইলের ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন।

৩. বিনা কারণে রাউটারের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করবেন না।

৪. ঘরে যখন ওয়াই-ফাই ব্যবহার করবেন তখন জানালা দরজা যথাসম্ভব খুলে রাখার চেষ্টা করবেন। (আমি বলছি না যে, ক্ষতিকর রশ্মি আপনার জানালা বা দরজা দিয়ে পালিয়ে যাবে। কম-বেশি ক্ষতি যখন হচ্ছেই তখন বাইরের আলো-বাতাস আপনার শরীরে লাগলে কিছুটা প্রতিরোধ হবে।)

৫. ঘুমানের সময় মোবাইল বা ল্যাপটপ এর ওয়াই-ফাই এবং রাউটার বন্ধ রাখুন। অনেকেই দেখা যায় ঘুমানোর সময় ওয়াইফাই কানেক্ট করে ডাউনলোড মেরে ঘুমিয়ে পড়েন। এটা কখননোই করা উচিত নয়।

আপনি যদি আপনার বাসায় রাউটারের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করেন তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করবেন। তাহলে ক্ষতির পরিমান কিছুটা হলেও কমবে।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Comments

Popular posts from this blog

জেনে নিন মোবাইল ফোন এর অপারেটিং সিস্টেম এর ইতিহাস।

জেনে নিন পারফিউম আবিষ্কারের ইতিহাস!!

ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন পর্ব-২, ওয়ার্ডপ্রেস এর 404 পেজ কে হোমপেজ এ রিডাইরেক্ট করুন সহজে!