আপনি জানেন কি? শিশুদের মস্তিষ্কের সুগঠনে ভিডিও গেম কতটা উপকারী?

সবাইকে অনেক অনেক সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আশাকরি সকলে অনেক ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শিশুদের ভিডিও গেম খেলার ইফেক্ট নিয়ে আলোচনা করব। আমরা সাধারণত আমাদের অল্পবয়সী বাচ্চাদের ভিডিও গেম খেলা নিয়ে অনেক ভয়ে ভয়ে থাকি। ওই বুঝি সবকিছু গোল্লায় গেল। তাই না? হ্যা তাই। আমরা আরো ভাবি এই বুঝি সন্তানের লেখাপড়া লাটে উঠবে আরো কত কি। তবে বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। যারা ভিডিও গেমস খেলে না, তাদের থেকে ভিডিও গেমস খেলে এমন ছেলেমেয়েরা বেশি মেধাবী হয়। খেয়াল করে দেখবেন যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে সমস্ত বাচ্চারা বিজ্ঞান ও গণিতে ভালো তারাই ভিডিও গেমের প্রতি বেশি ঝোকে এবং যারা ভিডিও গেমের প্রতি আসক্ত বেশি তারাই এই কঠিন সাবজেক্ট গুলোতে ভালো করে। ভিডিও গেমের বিভিন্ন কঠিন লেভেল পার করার জন্য তাদের সমাধান করতে হয় জটিল সব বিষয় আর এখান থেকেই সব চেয়ে কঠিন সাবজেক্ট যেমন বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের লেভেল পার করার একটা অভ্যাস তৈরী হয়। তাই মস্তিষ্কের খোরাক জোগাতে তারা ঝুঁকে পড়ে গেমিংয়ের দিকে। একটা বিষয় অনেকেই জেনে থাকবেন যে, অভ্যাস বলে আমরা যে বিষয়টি জানি সেটা হল এক ধরণের প্রোগ্রাম যা আমাদের মস্তিষ্কে তৈরী হয় বার বার চর্চা করার মাধ্যমে। যেমন ধরুন ছোট একটা বাচ্চা যে প্রথম হাটা শিখেছে তাকে যদি জুতা পরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে কি ভাবে হাটে? অবশ্যই এক পা-দুই পা করে হাটে তাই না? কেন জানেন? কারণ সে জুতা পায়ে দিয়ে হাটার অভ্যাস করে। সে যখন অভ্যাস করে তখন প্রত্যেক বার পা ফেলার সময় মাথার মধ্যেন চিন্তা করে এবং মনে করে যে সে কিভাবে হাটবে। এভাবে মনে করে করে এক পা-দুই পা হাটতে হাটতে এক সময় তার মস্তিষ্কের মধ্যে এই হাটার প্রোগ্রাম তৈরী হয় ফলে এক সময় তার আর মনে করে করে হাটা লাগে না এমনিতেই হাটতে পারে। তেমনি ভাবে কোন বাচ্চা যদি ভিডিও গেম খেলে তাহলে কঠিন বিষয় গুলো সমাধান করার একটা প্রোগ্রাম তার মাথার মধ্যে তৈরী হয়। ফলে যখন সে তার পাঠ্য বইয়ের কঠিন বিষয় গুলো দেখে তখন তার ঐ প্রোগ্রাম তাকে সাপোর্ট দেয়। ফলে কঠিন সাবজেক্ট তার কাছে অপেক্ষাকৃত সহজ মনে হয়। আর তখন তার ভালো ছাত্র হয়ে ওঠা খুব কঠিন কিছু না।
যদিও এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত তার পরও সবসময় খেয়াল করা দরকার যে, কোন বাচ্চা যেন পড়া ফাঁকি দিয়ে অতি মাত্রায় এই ভিডিও গেমের প্রতি আসক্ত না হয় তাহলে আবার তার মাথায় পড়া ফাকি দেওয়ার প্রোগ্রাম তৈরী হবে। আর পড়া ফাঁকি দেওয়ার প্রোগ্রাম তৈরী হলে কি হবে সবাই ভালো ভাবেই বুঝতে পারছেন।
সবাইকে অনেক ধ্যবাদ কষ্ট করে আমার এই পোষ্টটা পড়ার জন্য। ধন্যবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

জেনে নিন মোবাইল ফোন এর অপারেটিং সিস্টেম এর ইতিহাস।

জেনে নিন পারফিউম আবিষ্কারের ইতিহাস!!

ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন পর্ব-২, ওয়ার্ডপ্রেস এর 404 পেজ কে হোমপেজ এ রিডাইরেক্ট করুন সহজে!