Header Ads Widget

Responsive Advertisement

আসুন গুগলের আয়ের প্রধান উৎস সম্পর্কে জেনে নিই।

গুগল নিজেদের এমন এক অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে যে এখন ইন্টারনেট আর গুগলকে একে অন্যের পরিপূরক বললেও খুব একটা ভুল বলা হয় না। অন্তত গত এক দশকে মানুষ যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে বা এখনও করছে তাতে এ ধরনের বক্তব্য খুবই যুক্তিসঙ্গত।

১৯৯৬ সালে একটি গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন নামের দুই শিক্ষার্থী সার্চ ইঞ্জিন গুগল তৈরির কাজ শুরু করেন। এর দু’বছর পর ১৯৯৮ সালে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে গুগল।

১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বদলে গেছে অনেক কিছু। সহজলভ্য হয়েছে ইন্টারনেট। জ্যামিতিক হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। নিজেদের ঢেলে সাজিয়েছে গুগলও। গুগল এখন একটি মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি। ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে এ প্রতিষ্ঠানটি। এরমধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত সেবাটি হলো গুগল সার্চ ইঞ্জিন।

এটি এখন বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সালে গুগলের মোট রাজস্ব আসে ৫ হাজার ৯৮২ কোটি ডলার। মোট সম্পত্তি ১১ হাজার ৯২ কোটি ডলার। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৭৫৬ জন।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এতো বড় কোম্পানি চলে কীভাবে? কীভাবে উপার্জন করলো এতো অর্থ? এখনও কীভাবে করছে? গুগল যে নিজেই শুধু বিরাট অংকের অর্থ উপার্জন করেছে তাই-ই নয় সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষকেও গুগল অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে।

প্রতিবছর গুগল যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে তার ৯৯ শতাংশই আসে বিজ্ঞাপন থেকে। জনপ্রিয়তা লাভের পরপরই অনলাইন বিশ্বের এই সার্চ জায়ান্ট নিজেদের বিনিয়োগকৃত অর্থ উত্তোলনের ব্যাপারে তোড়জোর শুরু করে। এ লক্ষ্যে তারা চালু করে ‘গুগল অ্যাডসেন্স’ নামের একটি সেবা। এ অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দাতারা খুব সহজেই অনলাইনেই তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন।

এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতাদের সামনে নির্দিষ্ট কয়েকটি পদ্ধতি রেখেছে গুগল। যার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপনের অর্থ পরিশোধ করে থাকে।

ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করে যাক- ধরুন, একজন বিজ্ঞাপনদাতা তার পণ্য প্রচারের জন্য ৫০০ ডলারের বিনিময়ে গুগলের এডওয়ার্ডস টুলস থেকে বিজ্ঞাপন সেবা গ্রহণ করলো। বিজ্ঞাপনদাতার দেয়া এই ৫০০ ডলার থেকে গুগল কমিশনবাবদ কেটে রাখবে ৩৩ শতাংশ অর্থ। এই ৩৩ শতাংশ অর্থই হলো গুগলের উপার্জনের মূল উৎস। বিজ্ঞাপনদাতার দেয়া বাকি অর্থটা অর্থাৎ ৬৭ শতাংশ অর্থ যাবে সেইসব ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিকের কাছে যারা ওই পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করবেন।

এছাড়াও অ্যানড্রয়েড, ইউটিউব, গুগল সার্চইঞ্জিন ইত্যাদিরও অর্থ উপার্জনের মূল উৎস হিসেবে গুগল তার বিজ্ঞাপনী পরিষেবা অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে থাকে। গুগলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে তাদের বিজ্ঞাপন থেকে তাদের আয় হয়েছে ৫ হাজার ২০ কোটি ডলার

Post a Comment

0 Comments